দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবলের অভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত।

 

দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবলের অভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত।। 



দুমকি উপজেলা( পটুয়াখালী)  প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার  প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৩১শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে কাঙ্ক্ষিত জনবল কাঠামো না থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে ব্যাহত হচ্ছে।‎জনবহুল দুমকি উপজেলা ও পাশ্ববর্তী বাকেরগঞ্জের নলুয়া, কলস কাঠী, বাউফল উপজেলার বগা, পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়ন থেকে আগত রোগীদের অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরে কর্মরত ও জনসাধারণকে বিভিন্ন সময়ে সেবা প্রদান করে থাকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।‎সূত্রে জানা যায়, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭জন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও  তিনজন কর্মরত আছেন। ডাক্তারের ৪টি পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে।  এক্সরে মেশিন আছে কিন্তু টেকনিশিয়ান না থাকায় রোগীদের বাহিরের প্যাথলজিতে সময় ও অর্থ ব্যয়ে এক্সরে করাতে হয়। টেকনিশিয়ানের ২টি কোটা থাকলেও কর্মরত আছে ১জন। প্যাথলজি টেকনোলজি টেকনিশিয়ানের ২টি কোটাই শূন্য।  ফার্মাসিস্টের ২টি কোটায় কর্মরত ১জন। ডেন্টাল টেকনিশিয়ানের ১টি পদ শুন্য। এছাড়াও আউট সোর্সিংয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত ৫ জন কর্মচারীর দীর্ঘদিন যাবৎ বেতন বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।‎চিকিৎসা সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় বাহিরের প্যাথলজিতে যাতায়াত ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এছাড়াও ডাক্তার স্বল্পতায় প্রতিদিন দীর্ঘ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের।‎দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মীর শহিদুল হাসান শাহীন বলেন,  রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় জনবলের অভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়াও আউট সোর্সিংয়ে পাঁচ জন কর্মরত আছেন। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বেতনাদি না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিন্তু তারা কাজ ঠিকই করে যাচ্ছে। তাদের বেতন দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি দেয়া উচিত।

‎এব্যাপারে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা.এসএম কবির হাসান জানান, আমরা ইতিমধ্যে শুন্য পদের ব্যাপারে ডিজির মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি। সহসাই প্রতিকার মিলছে না।।#

Previous Post Next Post