বগুড়া শিশু বিকাশ কেন্দ্রতে পিঠা উৎসব

 

বগুড়া শিশু বিকাশ কেন্দ্রতে পিঠা উৎসব


নিজস্ব প্রতিবেদক

পারিবারিক উদ্যোগে গড়া একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বগুড়া শিশু বিকাশ কেন্দ্র  (এনডিডিসি)তে চিকিৎসা সেবা নেওয়া সকল প্রতিবন্ধী শিশু ও তাদের গার্জেনদের উপস্থিতিতে আনন্দমুখর পরিবেশে  পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারি বিকেল চারটা সময় ঠনঠনিয়া এলাকার এনটিডিসির নিজস্ব কার্যালয়ে এপিঠা উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।

  নাইমা আক্তার রিতুর উপস্থাপনায় এ সময় নৃত্য পরিবেশন, আগত অতিথিদের মাঝে বালিশ খেলা, সহ বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন  আনন্দ ঘন মুহূর্ত তৈরি করতে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। পরে অতিথিদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়।



এসময়  উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা.সামির হোসেন মিশু, নির্বাহী পরিচালক মাহাদি ইসলাম, শেরপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম, শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজের অ্যানেসথেসিয়া  সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার ইকবাল কবীর সহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকলেই।

উল্লেখ্য পারিবারিক উদ্যোগে গড়া এ প্রতিষ্ঠানে গত ৮ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত চিকিৎসা পেয়েছে ৬ শতাধিকের অধিক শিশু। কেন্দ্রটিতে সেবা দিচ্ছেন ১৮ জন দেশি-বিদেশী চিকিৎসক ও কর্মী। 



অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে খরচ নেওয়া হলেও  দরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুরা পাচ্ছে ফ্রি সেবা।

মূলত পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যদের সহমর্মতা থেকে দুই ভাই বোন মাহাদী ইসলাম ও আয়েশা ইসলাম ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়ায়  নিজ বাড়িতে এ কেন্দ্র।

স্থাপিত এ অলাভ জনক কেন্দ্রটিতে বুদ্ধি বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে ডাউন সিনডম ও অস্থিরতায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করা হয়। রয়েছে স্পিচ থেরাপি, ফিজিওথেরাপি হাইড্রথেরাপি অকুপেশনালথেরাপি সহ আরো অনেক থেরাপি।




 উক্ত প্রতিষ্ঠানে মোট ৮ বিভাগে কাজ করছেন তিন বিদেশি সহ মোট ১৮ জন চিকিৎসক ও কর্মী। প্রতিষ্ঠানটি থেকে গত ৮ বছরে অধিক সময় ধরে চিকিৎসা নিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি প্রতিবন্ধী শিশু। এরই মধ্যে প্রায় ৩ শতাধিকের বেশি ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। সুলভ ও উন্নত চিকিৎসা পাওয়ায় পার্শ্ববর্তী নাটোর নওগাঁ জয়পুরহাট সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন রোগীরা।। উক্ত সেবা কেন্দ্রটিতে সকল সব রোগীর জন্য সেবার মান একই।

  দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করার জন‍্য ভালো পারিবারিক ব্যবস্থাপনোদের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও দরিদ্র পরিবারের শিশুরা চিকিৎসা পায় বিনা খরচে।




Previous Post Next Post